জহিরুল হক বাবু।।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণে গিয়ে প্রচন্ড গরমে হিট স্ট্রোকে কুমিল্লায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবকের নাম মতিউর রহমান (৪০)। সে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের নোয়াপাড়া এলাকার মরহুম মাওলানা আঃ ছামাদ এর মেজো ছেলে।
শনিবার সকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ঘোরাঘুরির সময় তিনি হঠাৎ বালিয়াড়িতে পড়ে যান। এতে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যু হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মো. ওসমান গণি।
ওসমান গণি বলেন, ‘সকাল পৌনে ৯টার দিকে সৈকতে এক পর্যটক ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় বালিয়াড়িতে ঢলে পড়ে অবচেতন হয়ে পড়েন।’
দায়িত্ব পালনরত লাইফ গার্ড কর্মীরা মতিউর রহমানকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান ওসমান গণি। তিনি বলেন, ‘এ সময় সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘সৈকতের লাইফ গার্ড কর্মীরা এক পর্যটককে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু এখানে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’
প্রাথমিকভাবে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পর্যটক মতিউর রহমানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান আরএমও আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে নাকি অন্য কোনো রোগে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম হোসেন জানান, নিহত মতিউর রহমান পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতো। ঢাকা থেকেই সে কক্সবাজার যায়। মৃত্যুর খবর শুনে নিহতের বোন, ভগ্নিপতি ও স্ত্রী মরদেহ আনার জন্য কক্সবাজারে গিয়েছে।
নিহতের ভগ্নিপতি আবদুল আওয়াল জানান, মতিউর বৃহস্পতিবারে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যায়। তিনি মরদেহ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় কক্সবাজার থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। রাতেই মরদেহ কুমিল্লা আনা হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page